উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে কোপানোর অভিযোগ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/09/mahbuba-nasrin-rupa_0.jpg)
মাহবুবা নাসরিন রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। চলতি বছরের ১৮ মার্চ পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মাহবুবা নাসরিন রুপা ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগেরও যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযোগ আছে, তিনি কলেজের ফজিলাতুন্নেছা হলের একটি কক্ষে একজন বহিরাগতকে টাকার বিনিময়ে রাখতেন। এ নিয়ে আজ শনিবার ওই হলে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় সাবিকুন্নাহার তামান্না নামের শাখা ছাত্রলীগের এক সদস্যের হাতে দা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রূপার নেতৃত্বে তামান্নার হাতে কোপ দেওয়া হয়।
কলেজের রাজিয়া বেগম হলের একটি সিট রুপার নামে বরাদ্দ আছে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন তিনি।
ইডেন কলেজের ঘটনা প্রসঙ্গে মাহবুবা নাসরিন রূপা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি সাবিকুন্নাহার তামান্নাকে কোপাইনি। মারামারি ঘটনা শুনে আমি সেখানে গেলে আমাকে মারধর দিয়ে জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেয় তারা। উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আমি মাত্র পাঁচ দিন হলে থেকেছি। আমি তামান্নাকে কোপ দেইনি। তার কাছেও শুনে দেখতে পারেন।’
মাহবুবা নাসরিন রূপা আরো বলেন, ‘গতকালও আমাকে মারধর করতে গিয়েছিল আমার বিরোধী পক্ষ। আমাকে হল থেকেও বের করে দিতে চেয়েছে। আমি সে সময় তাদের বলেছিলাম, আমি নিজ উপজেলায় থাকি। এমনিতেই হল ছেড়ে দেব।’
নাবিলা বহিরাগত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রূপা বলেন, ‘নাবিলা আমার এলাকার। সে ইডেন কলেজের ডিগ্রির ছাত্রী ছিল।’
অভিযোগ আছে, কলেজের ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগতকে টাকার বিনিময়ে রাখতেন রূপা। এ নিয়ে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রূপার। একপর্যায়ে রূপা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় রূপার নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকরা তামান্নার হাতে দা দিয়ে কোপ দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ইডেন কলেজের ছাত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্নাকে সকালে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর হাতে দায়ের কোপ দেওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
২০১৯ সালের ১৮ মার্চের পঞ্চম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলস মার্কায় নির্বাচনে দাঁড়ান। ওই নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছিলেন ২১ হাজার ৯ শক ৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি শামিমা আক্তার মুক্তা ভোট পেয়েছিলেন ১৬ হাজার ৭৯৩ ভোট। দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন এক লাখ ৪০হাজার ৩৩৫ জন। এরমধ্যে ৫৯ হাজার ৩৮১ জন ভোটার ভোট দেন। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছাড়াও দুই হাজর ৭৫২টি বাতিল হয়েছে। এই নির্বাচনে শতকরা ১৮ দশমিক ২০ ভাগ ভোট পড়েছিল।