একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম, বাঁচানো গেল না একটিও
গর্ভধারণের পর মাত্র সাড়ে চার মাসে বাড়িতে একটি সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও প্রসব বেদনা না কমায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেসমিন খাতুনকে (২৪)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালে তিনি একে একে প্রসব করেন আরও চারটি সন্তান। তবে সবগুলোই প্রি-ম্যাচিউরড বেবি। তাই একটিও বাঁচেনি।
জেসমিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের কাবাতুল্লাহ মোল্লাটল্লা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী।
আজ দুপুরে বাড়িতেই সাড়ে চার মাস বয়সী একটি বাচ্চার জন্ম দেন জেসমিন খাতুন। এরপর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরও চারটি সন্তানের জন্ম দেন জেসমিন। এরপর জেসমিনকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। আর চারটি বাচ্চাকে রাখা হয় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইনকিউবেটরে।
হাসপাতালে জেসমিনের মা ফুলসন বেগম জানান, এবারই প্রথম গর্ভধারণ করেছিল তাঁর মেয়ে। বাড়িতে প্রথমে তাঁর একটি মেয়ে সন্তান হয়। সেটি বাড়িতেই মারা যায়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পর চারটি ছেলে সন্তান হয়েছে। তাদের একটিকেও বাঁচাতে পারেনি চিকিৎসকরা।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিদ মোস্তফা বলেন, ‘মাত্র সাড়ে চার মাস বয়স হয়েছিল বাচ্চাগুলোর। এগুলোকে কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব ছিল না। বেলা ৩টার দিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর বাচ্চাগুলো মারা গেছে।’