কক্সবাজারের ৫৫ হোটেল-মোটেল এখন আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত লোকজনকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে সরিয়ে আনছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজারের নাজিরারটেক, সমিতিপাড়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, সোনাদিয়া, ঘড়িভাঙ্গা ও কুতুবজোম, টেকনাফ বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে অন্তত দেড় লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আর ৫৫টি হোটেল ও মোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজারের ৫৫টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতি। সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘কক্সবাজারে দুর্যোগপূর্ণ সময়ের কথা বিবেচনা করে আমরা ৫৫টি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছি। এতে করে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষা পেতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সকাল থেকে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছি। এতে করে উপকূলের মানুষ আসতে শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ এসেছেন। আরও অনেকেই আসছেন। তবে, কত লোক আসবে সেটা ঠিক বলা যাচ্ছে না।’ তিনি জানান, প্রয়োজনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি থানায় আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। দুর্যোগকালীন প্রতিটি মানুষকে সহযোগিতা করা হবে। লোকজনকে সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিকতার পরিচয় দিতে হবে।’