আশিক নারী পর্যটকের পূর্ব-পরিচিত : পুলিশ

কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশ দাবি করেছে, ওই নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি, ‘ধর্ষক’ আশিক তার পূর্বপরিচিত।
এদিকে আজ শনিবার আটক হোটেল ম্যানেজারকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার বিকেলে কক্সবাজারে এক নারীকে স্বামী-শিশুসন্তানসহ তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কিন্তু সেই ধর্ষণের ঘটনায় বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বললেও পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ওই নারী তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করতেছিলেন। উনার সঙ্গে আসামি আশিকের পূর্ব-পরিচয় রয়েছে। এবং ওই ভদ্রমহিলা স্বামী-সন্তানসহ বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করতেন। অর্থাৎ এক হোটেলে তিন মাস অবস্থান করেছেন- এমন না। বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছেন।’
আর জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ভিকটিমের অভিযোগ, জবানবন্দিসহ যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এরা থাকে এবং কী কার্যক্রম তারা করে এগুলো আমরা যাচাই করে দেখছি। এবং যেহেতু সুনির্দিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।’
যে হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেখানকার সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্ত্রীর পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন ওই নারী।
এদিকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ শনিবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গত ২২ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত।