করোনার কারণে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত
করোনাভাইরাসের কারণে বিএনপির আগামীকাল বুধবারের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি স্থগিত করেছে দলটি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামীকাল দেশের সব মহানগর ও জেলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির দাবিতে আমরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটায় জনসমাবেশে আগতরা যাতে ভাইরাসের ঝুঁকিতে না পড়েন সেজন্য আগামীকালের সেই কর্মসূচি আমরা আপাতত স্থগিত ঘোষণা করছি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের আশু আরোগ্য কামনা করছি এবং এই রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা দল, অঙ্গ দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান ও এই রোগ যাতে আর না ছড়ায় সে লক্ষ্যে জনসচেতনামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি। দুস্থ রোগীদের সুচিকিৎসায় সহায়তা দান এবং রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সরঞ্জাম নিয়ে জনগণের পাশে থাকার জন্যও আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমানুষের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে অনির্বাচিত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি অসুস্থ। সুচিকিৎসার অভাবে ও দীর্ঘদিন বন্দি থাকায় তাঁর অসুস্থতা বেড়েই চলেছে। দেশের প্রচলিত আইনে তাঁর চেয়েও কম বয়সী ও কম অসুস্থ এবং বেশি সাজাপ্রাপ্ত সরকারি দলের নেতারা জামিনে মুক্তি পেয়ে এমপি, মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু দেশনেত্রীকে প্রাপ্য জামিন দেওয়া হচ্ছে না। তিনি প্রাপ্য সুবিচার থেকে বঞ্চিত। অন্তত সুচিকিৎসার জন্য হলেও অতিদ্রুত তাঁর মুক্তির জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেও সুচিকিৎসার জন্য দেশনেত্রীর মুক্তির আবেদন করা হয়েছে। দেশবাসী আশা করে যে, তাদের সেই আবেদন গৃহীত হবে এবং দেশনেত্রীর মতো একজন বিশিষ্ট নাগরিক বিনা চিকিৎসায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হসান মাহমুদ টুকু, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।