কাদের মির্জাসহ ৯৭ জনের নামে আদালতে আরেকটি মামলার আবেদন
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি এবং তাঁর ভাই শাহাদাৎ হোসেন ও ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাসিকসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে লাঞ্ছনার মামলার আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালতে মামলার এই আবেদন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজিত হায়াতের স্ত্রী আরজুমান পারভীন।
আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে বাদীর আবেদন দেখে নোয়াখালী আমলী আদালত-২-এর বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান বিকেলে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ৮ মার্চ কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াতকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। কাদের মির্জার লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করেছে—এমন অভিযোগ এনে খিজির হায়াতের স্ত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীনের পক্ষ থেকে কয়েকবার সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। পরে আজ সোমবার দুপুরে আদালতে এ মামলার আবেদন করেন আরজুমান পারভীন।
এদিকে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা যুবলীগের সহসভাপতি সালাউদ্দিন পিটন। তিনিও একই সময়ে নোয়াখালী আমলী আদালত-২-এর বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক বিকেলে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল একটি মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মোজাক্কের নিহত হন। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে চাপরাশিরহাট বাজারে মারামারি, গুলি ও বোমাবাজির অভিযোগ এনে আজ এ মামলার আবেদন করেন বাদী।