কিশোর গ্যাংয়ের ধাওয়ায় শীতলক্ষ্যায় ডুবে মরল দুই ছাত্র
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুইপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আত্মরক্ষায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে জাল ফেলে দুজনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত দুজন হচ্ছে নিহাদ (১৮) ও জিসান (১৫)। এর মধ্যে নিহাদ বন্দরের কদমরসুল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগে পড়তেন। সে নাজিমউদ্দিন খানের ছেলে ও বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খানের ভাতিজা।
আর জিসান বন্দরের বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ত। সে বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় সোমবার বিকেলে স্থানীয় দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় একপক্ষের ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় নিহাদ ও জিসান। এদিকে নিহাদ ও জিসান নদী থেকে উঠে গেছে এমনটি ভেবে স্থানীয় লোকজন তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি।
তবে রাতে তারা বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে জানতে পারে সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনায় তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। এ সময় তাদের খোঁজে শীতলক্ষ্যার তীরে বাড়তে শুরু করে জনসমাগম। রাত সোয়া ১১টার দিকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন জানান, শীতলক্ষ্যায় এক কলেজছাত্র ও এক স্কুলছাত্র নিখোঁজের খবর পেয়ে বন্দর থানা ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করে। রাতে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।