ক্লিনিকে নার্সকে অচেতন করে ‘ধর্ষণ’, চিকিৎসক গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরা শহরের একটি ক্লিনিকে কর্মরত নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াজুল নামের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
এর আগে ধর্ষণের শিকার ওই নার্সকে গতকাল উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। আজ শনিবার তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ১৫ দিন আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এক তরুণী শহরের শিমুল ক্লিনিকে নার্স হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকেই ক্লিনিকের চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলাম তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে ওই তরুণী সম্মত না হওয়ায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন রিয়াজুল।
অভিযোগ করা হয়, গত বুধবার রাতে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় ওই তরুণীকে। পরে তাঁকে ক্লিনিকের তিনতলার ছাদে নিয়ে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করেন ডা. রিয়াজুল ও কর্মচারী মাহমুদ। পরে গভীর রাতে চেতনা ফিরলে ওই তরুণী বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ও তাঁর ছেলে মিঠুন ওই তরুণীর সঙ্গে ডা. রিয়াজুলের বিয়ে দেবেন—এমন শর্তে যোগাযোগহীন অবস্থায় দুদিন আটকে রাখেন।
এদিকে দুদিন ধরে তরুণীর খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ শিমুল ক্লিনিকে তল্লাশি চালিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে গতকাল রাতে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। পরে রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসক রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।