কয়েদি পালানোর ঘটনায় ৬ জন বরখাস্ত
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক পালানোর ঘটনায় সহকারী প্রধান কারারক্ষীসহ ছয় কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় সহকারী প্রধান কারারক্ষীসহ ছয় কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আরো পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।‘
যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তারা হলেন- সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আহাম্মদ আলী, কারারক্ষী মো. হক মিয়া, মনিরুল ইসলাম, মো. আলী নূর, সজীব হোসাইন ও নবীন কারারক্ষী আনোয়ার হোসেন।
কামাল পাশা আরো বলেন, ‘এ ছাড়া এই ঘটনায় একজন অতিরিক্ত আইজি প্রিজনসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা আগামীকাল শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে।’
তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এবং আরো বিস্তারিত জেনে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে বলেও জানান কামাল পাশা। তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল থেকে কয়েদির গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকায় তাঁর খোঁজ আমরা করেছি, তবে এখনো আমরা তাঁকে পাইনি। আশা করছি, খুব দ্রুতই তাকে ধরে ফেলব।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের পর থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত আবু বকর সিদ্দিকের কোনো খোঁজ মেলেনি।
আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে এসেছিলেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই সাজা সংশোধন করে তাঁকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।
কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুর এলাকায়।
কাশিমপুর কারাগারের একজন কর্মকর্তা জানান, কাশিমপুর অনেক বড় কারাগার। তিনি কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারেন। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় তিনি আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পরদিন তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এবারও তা হতে পারে।