খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয়মাস বাড়ছে
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আজ বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে এ আবেদনের ওপর আইনি মতামত চেয়ে পাঠিয়েছিল। আমরা তাঁর (খালেদা জিয়া) দণ্ড আগের শর্ত অনুযায়ী আরও ছয় মাস স্থগিতের পক্ষে মত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে আজ দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়ার পর সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ বিষয়ে পুনরায় নির্বাহী আদেশ জারি করবে।
জানা গেছে, বর্তমানে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এ মাসের শেষ সপ্তাহে তার মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এ–সংক্রান্ত আবেদন করেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। পরে গত সেপ্টেম্বরে তাঁর মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। মুক্তিতে থাকার সময় খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন; এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত দেওয়া হয়।
‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ে।