খুলনায় অসহায় ২৫০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ
করোনাভাইরাস মহামারিতে কর্মহীন ও অসহায় খুলনার ফুলতলা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ২৫০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের জনতা ব্যাংক শাখা।
গত বৃহস্পতিবার প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি আটা, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবণ, এক কেজি ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি আলু, এক প্যাকেট সেমাই ও একটি করে সাবান দেওয়া হয়। জনতা ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের জনতা ব্যাংক শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উল আলম ব্যাকুলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা ও পরামর্শক এবং স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, যতদিন এই মহামারি থাকবে ততদিন বিভিন্ন জেলায় জনতা ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সামর্থ্যবান ব্যাক্তিদেরও এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ শাখা জনতা ব্যাংকের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উল আলম ব্যাকুল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং আমরা তাঁর স্বপ্ন সারথী হিসেবে অসহায় ও দুস্থ মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমাদের এমডি ও সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সালাম আজাদের পরামর্শে সারা দেশে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম ও দামোদর ইউপির চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া শিপলু।
জনতা ব্যাংকের ডিজিএম অরূণ প্রকাশ বিশ্বাস, খুলনার এরিয়া ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের মো. ইদ্রিস আলী গাজী, মো. আমিনুল ইসলাম মঈন, গাজী জগলুল আহমেদ, মানস কুমার ঢালী, রনি ভূইয়াসহ সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ।