খুলনায় ট্রেনে উপচেপড়া ভিড়, সুন্দরবনে গিয়ে ভোগান্তিতে পর্যটকেরা
খুলনায় সড়কে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকায় রেলস্টেশনগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। এ সুন্দরবনসহ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণে আসা পর্যটকেরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে।
খুলনা রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার স্নিগ্ধা ঘোষ জানান, আজ রোববার সকালে খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসে আসন ছিল এক হাজার ৩০২টি। করোনার কারণে দাঁড়ানোর টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকায় ট্রেনের টিটিদের কাছে জরিমানা দিয়ে টিকেট কেটে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। শিশুসন্তানদের কোলে নিয়ে ট্রেনে দাঁড়িয়ে অনেক মায়েরা রওয়ানা দিচ্ছেন গন্তব্যে।
অন্যদিকে, খুলনায় বেড়াতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক পর্যটক। শীতের মৌসুমে সুন্দরবন দেখতে খুলনায় এসেছিলেন অনেকে। সাধারণত অফিসের নিয়মিত ছুটি পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার সকালে বেড়াতে গিয়ে রোববার কর্মস্থলে ফেরেন অনেক ভ্রমণপিপাসু। ধর্মঘটের কারণে তাঁরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
সুন্দরবন টুরিজম নেতা মাজাহারুল ইসলাম কচি জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে সুন্দরবনে ৫০০ পর্যটক রয়েছেন। আজ দুপুরের পর থেকে তাঁদের খুলনা শহরে ফেরার কথা। পরে খুলনা থেকে সড়কপথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব পর্যটকেরা।
খুলনা সড়ক পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাবেক সাংসদ আব্দুল গাফফার বিশ্বাস জানান, আজ রোববার ঢাকায় সব পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সে বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আব্দুল গাফফার বিশ্বাস আরও জানান, শুধু ডিজেল নয়, ফেরি ভাড়া, ব্রিজের টোল-ট্যাক্স বৃদ্ধি করে পরিবহণ সেক্টরের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে।