খোকা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন

ছবি : সংগৃহীত
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক স্মৃতিচারণ করেছেন একাত্তরের গেরিলা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
আজ সোমবার নাসির উদ্দিন ইউসুফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকা ১৯৭১ সালে সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে আদর্শিক রাজনীতিতে আমার সঙ্গে তাঁর দ্বিমত ছিল। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের সংযোগ ছিল। খোকা ঢাকা শহরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইতিহাসের বড় সত্য এটাই। যে যাই বলুক না কেন, এই সত্য অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা’, বলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল নিয়ে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমাদের যোগাযোগ ছিল। আমাদের দেখা হয়েছে। আমি, মায়া, খোকা, আজিজ... আমরা যে কয়জন নেতৃস্থানীয় ছিলাম, তাদের সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ হয়েছে, আগরতলার মেলাঘরে যোগাযোগ হয়েছে। আমরা ছিলাম ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলা। খোকা ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলা না হলেও ঢাকার অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যানহাটনে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। গত ২৮ অক্টোবর শারীরিক অবস্থার অবনতির পরই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনই বাবার পাশে থাকতে নিউইয়র্কে যান ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও পরিবারের সদস্যরা।
সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনীর সদস্য সাদেক হোসেন খোকা ২০১৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তার পর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা।
সেখানে অবস্থানকালে বিএনপির এই নেতার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় গতকাল রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক মেয়রের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তার কিছু পরেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, সাদেক হোসেন খোকার পরিবার ট্রাভেল পারমিটের জন্য আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।