গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এ নেতা এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সেই সব বুদ্ধিজীবী যারা তাদের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, যারা রক্ত দিয়ে দিয়েছেন শুধু দেশের স্বাধীনতার জন্য, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। তাদের এই আত্মত্যাগ কখনও সার্থক হবে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি তবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আসুন আজকের এই দিনে এই শপথ গ্রহণ করি, আমরা ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাই।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী আমাদের বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল সেই সময়ে সেই চিত্রের সঙ্গে আজকের এই চেহারার খুব একটা পার্থক্য নেই। এই সরকার যারা আজকে স্বাধীনতার কথা বলে আমাদের দেশের জনগণের ওপরে নির্যাতন-অত্যাচারের স্টিমরোলার চালাচ্ছে তা কোনো মতেই ১৯৭১ সালের সেই হানাদার বাহিনী থেকে কোনো অংশেই তাদের শ্রেষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না।
সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আজকে যখন ৫০ বছরে আমাদের স্বাধীনতাকে সুসংহত করার কথা, আমাদের সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করার কথা, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও উপরে নিয়ে যাওয়ার কথা তখন এমন একটি সরকার যারা আজকে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। যাদের জনগনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, আজকে তারা সারা বিশ্বে বাংলাদেশে সমস্ত সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করছে।
বিএনপির মহাসচিবের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম।