গরুর ১ মণ পচা মাংস জব্দ, পরে মাটিচাপা
যশোরের বেনাপোল বাজারে রুগ্ন ও পচা গরুর মাংস বিক্রির সময় প্রায় এক মণ মাংস জব্দ করেছে পোর্ট থানা পুলিশ। আজ শনিবার সকালে এই পচা মাংস জব্দ করে কেরোসিন মিশিয়ে মাংসগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়।
কিন্তু পচা মাংস বিক্রেতা মিজান কসাই ও তাঁর চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এসব পচা-বাসি ও রুগ্ন গরুর মাংস খেয়ে অনেকেই পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের জটিল রোগে ভুগছে। তবে, বারবার এ চক্রের প্রধান মিজান কসাই চোরাই গরু নিয়ে আটক হয়েছে। কিন্তু রুগ্ন ও পঁচা গরুর মাংস বিক্রির জন্য তাঁর কোনো শাস্তি হয়নি।
বেনাপোল পৌর স্যানিটারি পরিদর্শক রাশিদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বাজারের মিজান কসাইসহ অন্য কসাইদের রুগ্ন ও মরা গরুর মাংস বিক্রিতে বাধা দিলে তাঁকে বারবার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল তারা। পৌর স্যানিটারি পরিদর্শকের চোখ ফাঁকি দিতে গভীর রাতে পৌরসভাকে না জানিয়েই তারা মরা ও রুগ্ন গরু জবাই করে আসছে।
বেনাপোল পৌর এলাকার দিঘিরপাড় গ্রামের সাহেব আলী নামের এক ভোক্তা বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে মিজানের দোকান থেকে মাংস কিনে খেতে পারিনি।’ এ রকম একাধিক অভিযোগ স্থানীয় ভোক্তাদের।
বেনাপোল পৌর স্যানিটারি পরিদর্শক রাশিদা বেগম বলেন, বেনাপোল বাজারের সব গরুছাগল জবাই হয় পৌর কসাইখানায়। যার দায়িত্বে আছেন তিনি। তবে, এ রুগ্ন গরুটি কসাইখানায় জবাই হয়নি বলে জানান তিনি।
পচা গরুর মাংস বিক্রেতা মিজান কসাই ও তাঁর চক্রের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের উওরে বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। কোনো কিছু জানার থাকলে ওসির সঙ্গে কথা বলেন।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, ঘটনাস্থলে বেনাপোল পৌর স্যানিটারি পরিদর্শক রাশিদা বেগম গিয়েছেন। নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে কসাইয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।