গাজীপুরে পিসিআর মেশিনের নতুন বায়োসেপ্টিক কেবিনেট স্থাপন সম্পন্ন
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন বিকল হয়ে ছিল আটদিন ধরে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ নতুন বায়োসেপ্টিক কেবিনেট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ফের করোনা পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিনটির বায়োসেপ্টিক কেবিনেটের ল্যামিনার ফ্লু ও হেপা ফিল্টার যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ায় গত ২৮ জুন থেকে এখানে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন একটি পিসিআর মেশিন চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চিঠি দেয়। কিন্তু সরকারের কাছে এ যন্ত্রটি বর্তমানে মজুদ নেই। ফলে বিদেশ থেকে আমদানি করে এ যন্ত্রটি দেশে আসতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। সে ক্ষেত্রে আগামী আগস্টের আগে নতুন পিসিআর মেশিন স্থাপন করা সম্ভব নয় বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময়ে জেলার করোনা পরীক্ষা ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাই এ যন্ত্রটি মেডিকেল কলেজকে সরবরাহের জন্য বিজিএমইএ-এর কাছে অনুরোধ জানালে তারা খুব শিগগিরই দেশের বাজার থেকে এ যন্ত্রটি কিনে মেডিকেল কলেজকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল কাদের বলেন, ‘করোনার স্যাম্পল সংগ্রহ করে প্রসেসের জন্য প্রথমে এই বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে রাখা হয়। এখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভাইরাস রোগের জীবাণু ছড়ানোর এবং আক্রমণের ক্ষমতাকে ধ্বংস করা হয়। পরে আরএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সংগৃহীত স্যাম্পলটি করোনা পজিটিভ বা নেগেটিভ তা শনাক্ত করা হয়। গত ২৮ জুন এই কেবিনেটের ‘ল্যামিনার ফ্লু’ এবং ভাইরাস ফিল্টারের যন্ত্র ‘হেপা ফিল্টার’ বিকল হয়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি-এর প্রধান প্রকৌশলী পরিদর্শন করে বলেন, ‘কেবিনেট মেরামত যোগ্য না। ফলে পুরো কেবিনেটটি পরিবর্তন করতে হবে। বিষয়টি গাজীপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ও বিজিএমইএ এর সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকালে পিসিআর এর নতুন কেবিনেটটি হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। যন্ত্রটি পাওয়ার পর পরই তা স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। আজ সন্ধ্যা নাগাদ এ যন্ত্রটি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই বৃহষ্পতিবার থেকে এখানে ফের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে প্রতিদিন গড়ে ৪০০টির মতো নমুনা পরীক্ষা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেশিন নষ্ট হওয়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতাল ল্যাব ও ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।