গিয়াস উদ্দিন বাঁচতে চান, প্রয়োজন সাত লাখ টাকা
গিয়াস উদ্দিন। পেশায় অটোরিকশাচালক। নওগাঁ সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়িয়ার বাসিন্দা তিনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি শুরুর দিকে বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে যান গিয়াস উদ্দিন। তারপর পরিবারের সদস্যরা নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক গিয়াসকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর নিউরোলজি বিশেষজ্ঞকে দেখানোর পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় প্রাইম ল্যাব হাসপাতালে ডা. মুকুল কুমার সরকারকে দেখালে তিনি রাজশাহী পপুলার হাসপাতালে এমআরআই টেস্ট করাতে বলেন। এমআরআই টেস্ট করানোর পর রিপোর্টে গিয়াস উদ্দিনের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে।
গিয়াস উদ্দিনের প্রতিদিন ওষুধ কিনতে খরচ হয় ১০০-১৫০ টাকার মতো। ওষুধে সাময়িকভাবে কিছুটা ভালো থাকলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে অপারেশন করাতে হবে। আর অপারেশন বাবদ খরচ হবে প্রায় সাত লাখ টাকা। টাকার অভাবে অপারেশন না করাতে পেরে বর্তমানে গিয়াসের শারীরিক অবস্থা আরো অবনতির দিকে।
গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী লতা বেগম বলেন, আমার স্বামীর কোনো বাড়ি, জায়গা-জমি নেই। গত বছর থেকে চিকিৎসা ও ওষুধ কেনার খরচ চালাতে এ পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমার স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আমি ছাত্রদের মেসে রান্নার করে দিয়ে মাসে তিন হাজার টাকা পাই। আর বাসা ভাড়া দিতে হয় এক হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিদিন ১৫০ টাকার ওষুধ লাগছে। আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা ও সহযোগিতা নিয়ে ওষুধ খরচ ও সংসার চালাতে হয় অনেক কষ্ট করে। ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করাতে বলেছেন, নইলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রী লতা বেগম সমাজে বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
গিয়াস উদ্দিনকে সাহায্য করতে চাইলে
০১৩২-১৪৯০০২২ লতা বেগম (নগদ)
০১৭১৮১০৯০৪০ ভাই নাজমুল হাসান (বিকাশ)