‘গেদু চাচা’ খ্যাত কলামিস্ট মোজাম্মেল হক আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
আশির দশকের সামরিক শাসনের সময় স্বৈরাবিরোধী আন্দোলন ও গণতন্ত্রের পক্ষে লিখে পাঠকের মন জয় করা ‘গেদু চাচা‘ খ্যাত কলামিস্ট ও সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মোজাম্মেল হক করোনা উপসর্গ নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে মারা যান। তিনি বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার মোজাম্মেল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফেনীতে নেওয়া হবে। বাদ জোহর সেখানে দাফন করা হবে।
খন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি আজ এক শোক বার্তায় প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের খোন্দকার মোজাম্মেলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী অত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদও সাপ্তাহিক ‘আজকের সূর্যোদয়‘ পত্রিকার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা শোক প্রকাশ করেন।
সামরিক শাসক এরশাদের শাসনামলে আশির দশকে ‘সুগন্ধ’‘ নামে একটি সাপ্তহিক পত্রিকায় ‘গেদু চাচার খোলা চিঠি’ কলাম লিখে দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন খন্দকার মোজাম্মেল হক। এই কলামে তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করে সমাজের নানা সমস্যা, সংকট তার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতেন।
খন্দকার মোজাম্মেল হক পরে ‘সাপ্তাহিক সূর্যোদয়’ নামে আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে, ‘আজকের সূর্যোদয়‘ নামের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
খন্দকার মোজাম্মেল হক চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ছাড়া ফেনী সাংবাদিক ফোরামের (ঢাকা) উপদেষ্টা ছিলেন।
ফটো সাংবাদিক রেহেনা আক্তারের মৃত্যু
দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ ফটোগ্রাফার রেহেনা আক্তার (৩৫) আজ মারা গেছেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ইত্তেফাকের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক জামিউল আহসান সিপু বলেন, রেহেনা আক্তার ক্লোন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকনগরের ভাড়া বাসায় তিনি মারা যান।
চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে রেহেনা রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্লোন ক্যানসারের অপারেশন করেছিলেন।
রেহেনা আক্তারের স্বামীর নাম বাচ্চু মিয়া। তিনি দুই মেয়ে ও স্বামীকে রেখে গেছেন।