গড়পাড়া ইমামবাড়ী দরবার শরিফের খাদেমের ইন্তেকাল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/05/20/manikganj-dead.jpg)
বাংলাদেশ পাক পাঞ্জাতন পরিষদের সভাপতি ও গড়পাড়া ইমামবাড়ী দরবার শরিফের খাদেম হজরত শাহ মোখলেছুর রহমান (পান্নু মিয়া) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি একজন ইসলামিক মতাদর্শের লেখক ও গবেষক ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
আজ বুধবার ভোর ৬টায় পান্নু মিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত হজরত শাহ হাবিবুর রহমান ও মৃত নুরুন্নাহার খাতুনের ঘরে ১৯৩৬ সালের ১২ মার্চ পান্নু মিয়া জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম সন্তান। তিনি তিন পুত্র ও পুত্রবধূসহ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। এর আগে ২০১১ সালে তাঁর সহধর্মিণী সুরাইয়া বেগম ইন্তেকাল করেন।
পান্নু মিয়ার শিক্ষাজীবন শুরু হয় মানিকগঞ্জ মডেল হাই স্কুল থেকে। পরে তিনি তেরশ্রী কালী নারায়ণ ইনস্টিটিউট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে দেবেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। কলেজজীবনে তিনি রাজনীতির সঙ্গেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। যার ফলে তিনি ১৯৬১-৬২ সালে এজিএস ও ১৯৬২-৬৩ সালে কেবিনেটে জিএস হিসেবে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি মানিকগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে বিএ পাস করে জগন্নাথ কলেজ থেকে এলএলবির প্রথম পর্ব শেষ করেন।
পান্নু মিয়া একজন ধর্মীয় অনুরাগী ছিলেন। কলেজজীবনের সময়ই তিনি দেবেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণের জামে মসজিদটি নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়া ইমামবাড়ী দরবার শরিফ জামে মসজিদসহ আরো অসংখ্য ধর্মীয় স্থাপনায় তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সুফি পদক গ্রহণ করেছেন। তা ছাড়া তিনি শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা অনুরাগী হিসেবেও ভূষিত হয়েছেন। তিনি ইরানে দুবার রাষ্ট্রপতির নিমন্ত্রণসহ বেশ কয়েক দেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।
পান্নু মিয়া মুক্তিযুদ্ধ চলার সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করেছেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন দাতা সদস্য ছিলেন।
আজ বাদ জোহর জানাজা শেষে গড়পাড়া ইমামবাড়ী দরবার শরিফের আঙিনায় পান্নু মিয়াকে দাফন করা হবে।