ঘূর্ণিঝড় আম্পান : নিরাপদ গন্তব্যে ছুটছে ভোলার চরাঞ্চলের মানুষ
দ্বীপজেলা ভোলাসহ উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আগমনী সতর্কতা জানিয়ে চলছে মাইকিং আর নিরাপদ গন্তব্যে ছুটছে চরাঞ্চলবাসী। জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেড়েছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মেঘনা মধ্যবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। ট্রলারে করে জেলার মূলভূমির উদ্দেশে আসছে তারা। অতীতে কখনোই এমনটি দেখা যায়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের তত্ত্বাবধায়নে কোস্টগার্ড ও পুলিশ এসব মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসার কাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই আসতে শুরু করেছে। সাগর মোহনার ঢালচর, চর পাতিলা, চর নিজাম, কলাতলীর চরসহ অর্ধশতাধিক চরাঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ দুপুর থেকে শুরু করে প্রশাসন। বাদ পড়েননি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরাও। তাঁদেরও নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
ঢালচর থেকে আসা মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ডিসি স্যারের কথা বলে নিয়ে এসেছে। ম্যাজিস্ট্রেট আর পুলিশ গিয়ে বলেছে, নিরাপদ স্থানে যেতে হবে, তাই আমরা বউ-বাচ্চা নিয়ে চলে এসেছি। এখন কোথায় রাখবে তা জানি না। রমজানের দিন কীভাবে খাব, রোজা রাখবে তাও জানি না।’
ঢালচরের অপর বাসিন্দা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘ঢালচর নিরাপদ না, তাই চলে এসেছি। সেখানে কোনো সাইক্লোন শেল্টার নেই। পানি উঠলে কোথায় আশ্রয় নেব, তাই চলে আসা ছাড়া উপায় নেই।’
এদিকে, স্থানীয়ভাবে মেঘনা নদীর পাড়ে জেলেপল্লিসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের এক হাজার ১১৪টি সাইক্লোন শেল্টার, ৭৯টি মেডিকেল টিম ও প্রায় ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি হোক, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তবে করোনার কথা চিন্তা করে বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যারা আশ্রয় নেওয়াদের চিকিৎসা দেওয়ার কাজ করবে। করোনার রোগী পেলে তাদের দ্রুত আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।’