চট্টগ্রামে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় ৯ বছরের শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আটজনকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জামিউল হায়দার আজ সোমবার দুপুরে এ রায় দেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে সাতজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় কাশেম কলোনির বাসিন্দা রাবেয়া আক্তারের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আক্তার মীম। সন্ধ্যা পর্যন্ত মীম ঘরে না আসায় খোঁজাখুঁজির পর মমতাজ ভিলার একটি ফ্ল্যাটে তাকে পাওয়া যায়। দুর্বৃত্তরা তাকে ফুসলে মমতাজ ভিলার খালি ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সিঁড়ির নিচে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় পরদিন মীমের মা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মামলা করলে পুলিশ মমতাজ ভবনের কেয়ারটেকার মনিরুল ইসলামকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম থেকে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবু নাসের জানান, আট আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন পলাতক রয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো মনিরুল ইসলাম মনু, বেলাল হোসেন বিজয়, রবিউল ইসলাম রুবেল, হাবিবুল ইসলাম লিটন, আকরাম মিয়া, মো. সুজন, মো. মেহরাজ টুটুল। এ ছাড়া শাহদাত হোসেন সৈকত নামের এক আসামি পলাতক রয়েছে।
আদালতের রায় শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহত মীমের মা রাবেয়া আক্তার। তিনি বলেন, দ্রুত মামলা কার্যকর করা হলে নিহত মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।