‘চাপে’ সরে দাঁড়ালেন কলারোয়ার স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী
কলারোয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু চাপে পড়ে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুলের সমর্থনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন মজনু চৌধুরী।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বি এম নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনহ তারেক উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশীদ এবং নির্বাহী সদস্য এসএম শওকত উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ করে মজনু চৌধুরী বলেন, ‘এর আগে আমি স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের শিকার হই। তারপরও আমি মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে চাপ দিয়ে বলা হয় ‘মজনু চৌধুরী তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হবে।’ একদল সাদা পোশাকধারী পুলিশ একই রাতে আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে এবং চাপ সৃষ্টি করে বলা হয় আমাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় আমাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসিন আলী বলেন, ‘এটা অপপ্রচার মাত্র। উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে তুলে নেওয়া এবং মজনু চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাও করার সঙ্গে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জড়িত নয়।’
ঘটনাটি আওয়ামী লীগের দলীয় বিষয় বলে মন্তব্য করেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুনার রশীদ বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দলীয় হেফাজতে রয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন। যেকোনো সময় তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন। এসব অপপ্রচার।’
তবে আমিনুল ইসলাম লাল্টুর সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম লাল্টু চেয়ারম্যানের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে বলেন, ‘লাল্টু কোথায় আছে তা জানতে চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে আমি টেলিফোন করেছিলাম। পুলিশ সুপার আমাকে বলেছেন যে, ‘চেয়ারম্যান লাল্টু তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে হয়তো কোনো কারণে আত্মগোপন করেছেন।’ তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আমরা লাল্টুকে সঙ্গে নিয়ে কলারোয়ায় নৌকার পক্ষে মিছিল করেছি। এরপর থেকে জানতে পারছি তাঁকে নাকি কারা তুলে নিয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে লাল্টু এখন কোথায় আছেন তা আমিও নিশ্চিত নই।’
তবে এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।