চামড়া শিল্প বর্তমানে সম্ভাবনাময় : শিল্প সচিব
এবারের কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম পায়নি বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করেছে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় বাংলাদেশ বিসিক শিল্প নগরী ট্যানারির কাঁচা চামড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিল্প সচিব এ কথা বলেন।
শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বলেন,কাঁচা চামড়ার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখে যে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পেল কি পেল না। চামড়া শিল্প বর্তমানে সম্ভাবনাময়। সরকার বিশ্বাস করে যে চামড়া খাতকে সমৃদ্ধি করার মাধ্যমে আমরা যে স্বপ্ন দেখছি ২০২১ সালের মধ্যে এই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষে চামড়া শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেভ
সচিব বলেন, বর্তমানে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ খাতের উন্নয়ন করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চামড়া রপ্তানি করে জাতীয় আয় বৃদ্ধি করছে। ট্যানারির সিইটিপি সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া ট্যানারির রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোয় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সরেজমিনে বিভিন্ন ট্যানারি কারখানাগুলো ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া আসা শুরু হয়েছে। কাঁচা চামড়াগুলো কারখানার শ্রমিকরা লবণ মাখিয়ে রেখে দিচ্ছে। ঈদের দিন থেকে প্রায় তিনদিন কাঁচা চামড়া আসবে কারখানাগুলোতে। ঈদের ছুটির পরে শ্রমিকরা কারখানাগুলোয় চলে এলে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে।
এদিকে কাঁচা চামড়ার ক্রেতারা জানিয়েছেন, তারা কাঁচা চামড়া ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন বলে আশা করছেন।
ট্যানারির মালিকরা জানিয়েছেন,লবণ মাখা চামড়া তারা নায্য দামে কিনবেন। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে একটু সমস্যা হলেও সেটা তারা পুষিয়ে নিবেন।
ট্যানারি পরিদর্শনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান,শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাখাওয়াত, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা, চামড়া শিল্প নগরীর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জিতেন্দ্র নাথ পালসহ আরো অনেকে।