চায়ের নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
চায়ের নতুন জাতের উদ্ভাবন ও উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বিদেশে বাংলাদেশের চায়ের চাহিদা রয়েছে। একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। ২০২৫ সালে দেশে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।’ সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান টিপু মুনশি।
ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে গতকাল রোববার বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন-সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি ও নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে চা বাগানের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এ জন্য চা বাগানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান, চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার ‘উন্নয়নের পথনকশা’ গ্রহণ করেছে এবং এর বাস্তবায়ন চলছে।
টি বোর্ডের উন্নয়নের পথনকশা বাস্তবায়নে চা বাগান মালিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম, সদস্য আরদাশির কবীর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রপ্তানি) জিনাত আরা উপস্থিত ছিলেন।