ঝিনাইদহে করোনা ও উপসর্গে আটজনের মৃত্যু, টহল জোরদার
ঝিনাইদহে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাসদস্যরা টহল জোরদার করেছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বাঁশ বেঁধে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১১৩ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। আক্রান্তের হার ৩৮.৬৮ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল চার হাজার ৭০৪ জনে। এ সময়ে কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানবিদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১০২ জন।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মিথিলা ইসলাম আজ রোববার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মহেশপুরে উপসর্গ নিয়ে আরও দুজন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মিথিলা ইসলাম আরও বলেন, সদর হাসপাতালটিতে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি আছে ১১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছে ২৭ জন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীরা বারান্দা ও মেঝেতে থাকছে। পাড়া-মহল্লা, গ্রামে-গ্রামে ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তদের বড় একটি অংশ তথ্য গোপন করছে এবং ঝুঁকি নিয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ অবস্থায় করোনার বিস্তার ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাসদস্যরা লকডাউন কার্যকর করতে জেলার সর্বত্র ছুটে বেড়াচ্ছে। আজ দুপুর ১টার দিকে জেলা শহরের পায়রা চত্বরে সেনাসদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পথচারীদের আহ্বান জানান। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও মহাসড়কগুলোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে।
ইসলামি ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপপরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান জানান, আজ দুপুর পর্যন্ত ১১২ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের কাজী মোবাশ্বের হোসেন (৬৩) গতকাল শনিবার দুপুরে যশোর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আজ সকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মাঠআন্দোলিয়া গ্রামের মো. আব্দুর রশিদ খান (৫৫) এবং একই উপজেলার আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী বুলবুলি আক্তার (৫২) গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের লাশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের দাফন কমিটির সদস্যরা দাফন করেছে।