টাঙ্গুয়ার হাওর ও নিলাদ্রী লেকে রাতে থাকতে পারবে না পর্যটকরা
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ও নিলাদ্রী লেকে (শহীদ সিরাজ লেক) রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদ চৌধুরী টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকরা ভ্রমণে এলে সারা দিন ঘুরে হয় টাঙ্গুয়ার হাওর বা নিলাদ্রী লেকে নৌকায় রাত্রি যাপন করত। এখন থেকে সকালে এসে সন্ধ্যার মধ্যে হাওর এলাকা থেকে পর্যটকদের ফিরে যেতে হবে।’
উপজেলা প্রশাসন জানায়, করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর ১৯ মার্চ সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরসহ জেলার সব দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণে জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর থেকে পর্যটকরা সুনামগঞ্জে ভ্রমণে আসেনি। কিন্তু কোরবানির ঈদে জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সবকটি দর্শনীয় স্থান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা, বারিক্কার টিলা, সুনামগঞ্জ সদর ও দোয়ারাবাজাসহ জেলার দর্শনীয় দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদ চৌধুরী টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হলে তাহিরপুর পুলিশ প্রশাসন মাছ ধরার জাল ফেলে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন টাঙ্গুয়ার হাওর ও নিলাদ্রী লেকে রাত্রি যাপন নিষিদ্ধ করে।
তাহিরপুরের ইউএনও পদ্মাসন সিংহ আরো বলেন, ‘কত দিন এ ঘোষণা বলবৎ থাকবে তা পরে জানানো হবে। তবে এখন থেকে আর কেউ টাঙ্গুয়ার হাওর ও নিলাদ্রী লেকে রাত্রি যাপন করতে পারবে না। ভ্রমণে এলেও সন্ধ্যার মধ্যে সবাইকে ফিরে যেতে হবে।’