টিপ পরা নিয়ে ‘হেনস্তা’ : সেই পুলিশ সদস্য শনাক্ত
টিপ পরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে লতা সমাদ্দার নামের এক শিক্ষককে হেনস্তা করার অভিযোগে নাজমুল তারেক নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে শনাক্ত করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া আজ সোমবার এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘আমরা নাজমুল তারেক নামের এক কনস্টেবলকে শনাক্ত করেছি। তিনি পুলিশের সুরক্ষা বিভাগে কর্মরত। তিনি ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তাঁরা পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের ওই কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি কী করেছেন, কেন করেছেন—এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজধানীর ফার্মগেটের সেজান পয়েন্টের পাশে গত শনিবার সকালে টিপ পরা নিয়ে এক পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার।
ঘটনার পরে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন ড. লতা সমাদ্দার। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শনিবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা থেকে রিকশায় করে ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। সেজান পয়েন্টের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলের ওপর বসেছিলেন। তাঁর মোটরসাইকেলের নম্বর-১৩৩৯৭০।
লতা সমাদ্দার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কপালে টিপ পরা নিয়ে ওই ব্যক্তি আমাকে কটূক্তি করেন। একপর্যায়ে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পেছনে ফিরে ঘটনার প্রতিবাদ করায় তিনি আরও গালিগালাজ করেন। পরে পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি আমার গায়ের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সরে গিয়ে রক্ষা পেলেও শারীরিকভাবে আহত হই।’
ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি জানালেও ব্যবস্থা না নিয়ে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রভাষক লতা সমাদ্দার। তাঁর ভাষ্য, ‘ঘটনার আকস্মিকতায় আমি পাশেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে বিস্তারিত জানাই। সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যেরা আমাকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।’