ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের ধর্ষণবিরোধী মশাল মিছিল
সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের শত শত সাধারণ শিক্ষার্থী। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মশাল মিছিলের আয়োজন করে তারা। মিছিলটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়মাঠ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে আবারও বড়মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এর আগে গত বুধবার থেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বুধবার মানবন্ধন করা হয়। এর পরদিন বৃহস্পতিবার শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করে তারা। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিবাদ সমাবেশ করে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ দেয় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে, ধর্ষণের কারণে শুধু সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখলেই চলবে না, বরং এর ফলে যাতে অপরাধীদের আরো ক্ষমতাবান না করা হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনকে নিশ্চয়তা দিতে হবে। কারণ, যেহেতু ধর্ষক জানেই যে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে, সেহেতু ধর্ষণের পর সে আগে ধর্ষণের শিকার নারীকে হত্যা করতেই উদ্যত হবে। কাজেই এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনকে আরো সজাগ হতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলে, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার পর অপরাধীরা ধরা পড়লেও তার বিচার সেভাবে হচ্ছে না। ফলে কোনো উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে না এবং এতে করে ধর্ষকরা বারবার রক্ষা পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আবারো ধর্ষণের মতো হীন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনকে আরো হুঁশিয়ার হতে হবে। তারা জানায়, সারা দেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি না দিলে ভবিষ্যতেও তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।