ডিজিটাল আইনে সাতক্ষীরা জেলা বারের সাবেক সভাপতি কারাগারে
এক শিক্ষানবিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম। আজ রোববার দুপুর দেড়টায় শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসার সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে আজই শাহ আলমসহ পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন লিয়াকত হোসেন নামের এই শিক্ষানবিশ আইনজীবী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তারিক ইকবাল তপু, অ্যাডভোকেট শাহেদুজ্জামান শাহেদ ও অ্যাডভোকেট ফুয়াদ হাবিব টিটো।
শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা রয়েছে। একটি মামলার শুনানি চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সম্পর্কে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে এই মামলাটি করা হয়েছিল।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী লিয়াকত হোসেন মামলায় অভিযোগ করেছেন, তিনি আইন পাস করার পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। বারের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ তাঁকে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে একটি কার্ড দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অথচ ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর সেই সময়কার আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম তাঁর চেম্বারে ডেকে নিয়ে তাঁকে দরজা বন্ধ করে মারপিট করেন এবং গলায়, ‘আমি আইনজীবী নই, আমি টাউট’ লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলেন। পরে সেই ছবি তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে ছেড়ে দেন। এতে তাঁর সম্মানহানি এবং মর্যাদাহানি হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের পর জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তিনি জামিন প্রার্থনা করলেও বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।