ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইপিভি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইপিভি বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইন্টারনেটের সেবার মানোন্নয়নে ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি) চার থেকে ছয়ে রাউটিংয়ের ক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক) বাংলাদেশকে সহযোগিতায় কাজ করবে। এপনিক মহাপরিচালক পল উইলসন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর (মোস্তাফা জব্বার) দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের সময় পল উইলসন আইপিভি ছয় বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারের প্রয়োজনীয়তা, উন্নত গ্রাহক সেবাসহ দেশে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের সুফল ইত্যাদি বিষয়ে মতমিনিময় হয়।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী পল উইলসনকে দেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অগ্রগতির বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ‘আইপিভি ছয় বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মাফিক কাজ চলছে। আইপিভি চার ও আইপিভি ছয় অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।’
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অপরিহার্য। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অপরিহার্য। এ বিষয়েও আমরা অত্যন্ত মনোযোগী। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত চৌদ্দ বছরে আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএসের দাম ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার হতো সাড়ে সাত জিবিপিএস তা বর্তমানে ৪১ শত জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। সে সময়ের আট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জায়গায় এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটি।’
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চলে মোবাইলফোনের জন্য ফোর জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে আমরা ৫জি প্রযুক্তি চালু করেছি।’
বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অগ্রগতিকে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের ডাইরেক্টর জেনারেল পল উইলসন এই অঞ্চলের অনেক বড় একটি সফলতা বলে উল্লেখ করেন। তিনি নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীসহ নেটওয়ার্ক সেবাদাতাদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্টদের মতে আইপিভি-৬ বাস্তবায়ন না করলে ইন্টারনেটের কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো পাওয়া যাবে না। এর অপারেশন ব্যয় বাড়বে। ভবিষ্যতে যে সফটওয়্যার, সলিউশন্স তৈরি হবে তা হবে আইপিভি-৬ সমর্থিত। ফলে সে সময় আইপিভি-৪ কাজ করবে না। যারা নতুন সফটওয়্যার ও সলিউশন্স তৈরি করবে, তারাও বলতে পারে—আমরা আইপিভি-৪-এর জন্য কোনো কিছু তৈরি করবো না। ফলে সে সময় সেবা নিয়েও একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে।