ঢাকার রাস্তায় পুলিশের কড়াকড়ি
করোনাভাইরাসের কারণে এবং তা প্রতিরোধে রাজধানীর ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন পরিবহনের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, টিকাটুলী, পল্টন, মতিঝিল, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, গুলিস্তান, সদরঘাট, নাবিস্কো, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকার সড়কগুলোয় ঘন ঘন চেকপোস্ট বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার কিংবা মাইক্রোবাস নিয়ে রাস্তায় নামলেই পুলিশকে কারণ বলতে হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কারণ না দেখাতে পারলে পুলিশ ভর্ৎসনা করছে। অনেক ক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হচ্ছে গাড়ি।
রাজধানীর টিকাটুলীর সামনে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ নাজমুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা আছে। এ ছাড়া সরকার থেকে বলা আছে, কোনো মানুষ যেন অকারণে ঘর থেকে বের না হয়। সে কারণে আমরা চেকপোস্টের মাধ্যমে অকারণে বের হওয়া বিভিন্ন পরিবহন আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
নাজমুল আরো বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়া বের হলেই আমরা তাঁদের জেরার মুখে রাখছি। এ ছাড়া ভর্ৎসনা করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবহন আটকে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে জরিমানাসহ কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করব।’
রাজধানীর পল্টন মোড়ে ট্রাফিক পরিদর্শক ইকবাল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনেকে বিনা কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তাই আমরা কড়াকড়ি আরোপ করেছি। কোনো কারণ ছাড়া পরিবহন নিয়ে বের হলেই আমরা প্রয়োজনে তা জব্দ করব।’
পরিদর্শক আরো বলেন, ‘সরকার থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে, আমরা সেভাবেই গাড়ি আটকিয়ে রাখব। প্রয়োজনে ট্রাফিক আইন অনুসারে নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে জরিমানা করব।’
এদিকে সায়েদাবাদ মোড়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, অ্যাপসভিত্তিক মোটরসাইকেলগুলো নির্দেশ অমান্য করে বের হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা যেকোনো ধরনের মোটরসাইকেল ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর না পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল আটকে রাখা হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাসাবাড়ি থেকে বের না হতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধেরও আদেশ রয়েছে।