পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে শত শত শ্রমিক অবস্থান নিয়েছে। তবে লঞ্চ বন্ধ থাকায় এবং ফেরিতে উঠতে না দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমিকরা।

দেশের বেশ কিছু শিল্প ও পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটে কয়েকশ শ্রমিক অবস্থান নিয়েছে নদী পারাপারের জন্য। তবে করোনাভাইরাসের ফলে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এসব শ্রমিক। তারা সকাল থেকে ওই ফেরিঘাটে এসে জড়ো হয়। কিন্তু যাওয়ার জন্য লঞ্চ, সি-ট্রাক কিংবা ফেরিতে যেতে না পেরে এসব শ্রমিক ইলিশা ঘাটে যাওয়ার অপেক্ষায় অবস্থান নিয়েছে।

একাধিক শ্রমিক জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাল থেকে আবারও কিছু কিছু কারখানা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেজন্য তারা কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ঘাটে এসেছে। কিন্তু সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় তারা কর্মস্থলে যেতে পারছে না। এখন সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে না দেয় তাহলে তারা খুবই বিপদে পড়বে। সময়মতো যদি কর্মস্থলে যেতে না পারে তাহলে তাদের চাকরিতে যোগদানের ভোগান্তি পোহাতে হবে। মালিকরা বেতন কেটে রাখবে। ছেলে-সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।

এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনার বাইরে কিছু করার নেই। ফেরিতে যাত্রী যেতে দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। তবে যেসব শিল্প কারখানা খুলেছে ওইসব শিল্প কারখানার মালিকরাই তাদের শ্রমিকদের নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’