ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে প্রকৌশল বিভাগে রদবদল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রকৌশল বিভাগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল করা হয়েছে। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে ডিএসসিসি।
আদেশ সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ আবুল হাসেমকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) সিভিল সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) সিভিল সার্কেলের কাজী মো. বোরহান উদ্দিনকে ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল এবং নিজ দায়িত্বসহ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর/যান্ত্রিক), বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল এবং নিজ দায়িত্বসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে থাকা খাইরুল বাকেরকে পরিবেশ জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে আরো বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আদেশ জারি করা হলো। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বদলি হওয়া কর্মকর্তারা কোনো প্রকল্পের দায়িত্ব বা অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলে তা বহাল থাকবে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে গত মাসে মেয়রের দায়িত্ব নিয়েই ডিএসসিসির শীর্ষস্থানীয় দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এই দুই কর্মকর্তা হলেন ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার।
এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের বাজার সার্কেল-৩-এর কর্মকর্তা বর্তমানে নগর পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত আতাহার আলী খানকেও ডিএসসিসির কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০১৯-এর বিধি ৬৪ (২) মোতাবেক জনস্বার্থে এবং করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকারের সম্পদ নষ্টের দায়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে করপোরেশনের মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত শ্রমিক রাজন দাসকে। রাজন দাস ডিএসসিসিতে অস্থায়ীভাবে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরত ছিলেন। ‘ইচ্ছাকৃতভাবে‘ লার্ভিসাইডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশক ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ছাড়া মশকনিধন কার্যক্রম সুপারভাইজিংয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য অঞ্চল-২-এর সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।