তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না : রিজভী
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। ভোটের অধিকার আদায়ে সারা দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। এবার আর সরকার রক্ষা পাবে না। অচিরেই সরকারের পতন হবে।
নয়াপল্টনে আজ রোববার (৭ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রিজভী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা শুধু রুটিন কাজ করবে, তাদের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন। ২০১৪ সালে, ২০১৮ সালে কীভাবে দিনের ভোট রাতে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী তা দেখেছে। আপনাদের অধীনে আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সকল নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। জনগণ তাদের নিজের ভোট দিতে পারেনি। এবার আর জনগণ আপনাদের বিশ্বাস করে না। আপনারা জনগণের সঙ্গে বার বার যে প্রতারণা করেছেন তারা সে জবাব এবার দিবে।’
দেশব্যাপী আবারও গ্রেপ্তার নির্যাতন চলছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই ৭ ডিসেম্বর পুলিশ নয়াপল্টনে হামলা করেছিল। ৪৭০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল। সে হামলা ছিল পরিকল্পিত। কারাগারে গিয়ে দেখি গোটা কারাগার বিএনপি নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ। কারও পায়ে স্যান্ডেল, কেউ লুঙ্গি পরা। এরা অতিসাধারণ বিএনপি নেতাকর্মী। তারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছিল।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গোটা দেশটাই আজ কারাগার। আমরা ছোট কারাগার থেকে বৃহৎ কারাগারে প্রবেশ করেছি মাত্র। আটক করে, নিপীড়ন করে জনগণকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না সরকার। এবার জনগণের বিজয় হবেই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনদের স্বাগত জানাতে গিয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’
বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় যুবদলের নেতাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপি বা যুবদলের কোনো নেতাকর্মী তার ওপর হামলা করেনি। এ ঘটনা সাজানো ও মিথ্যা। বিএনপির তরুণ নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে সাজানো মামলা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ জানে বিচারপতি মানিক একজন নিপীড়ক বিচারপতি ছিলেন। এখনও তিনি তদবির করছেন মিথ্যা সাজানো মামলায় যাতে কেউ জামিন না পান।
এসময় তিনি সাইফুল আলম নিরব, গোলাম মওলা শাহীন, এসএম জাহাঙ্গীর, রফিক হাওলাদারসহ আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।