তরিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে পেলেন খোকার মৃত্যুর খবর

ছবি : এনটিভি
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল আজ সোমবার। গত বছরের ৪ নভেম্বর ঢাকায় অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে আজ যশোরে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দুপুরে খবর পান দলের ভাইস চেয়ারম্যান, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এই খবর শুনে গভীর শোকার্ত হয়ে পড়েন বিএনপির মহাসচিব।
সহযোদ্ধার মৃত্যু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যু আমাদের কাছে একটা অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার। তিনি তো শুধু একজন রাজনীতিক ছিলেন না, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকার মেয়র, একজন প্রখ্যাত ক্রীড়া সংগঠক, একজন সমাজ সংস্কারক সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন জনদরদি মানুষ। আমি বলব এটা তাঁর অসময়ে চলে যাওয়া। এটা আমাদের দলের জন্য শুধু নয়, দেশে জন্য একটা ক্ষতিকর বিষয়। তাঁর চলে যাওয়া একটা শূন্যতা সৃষ্টি করবে, যে শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড রকম সরকারি নির্যাতনের ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমরা জানি তাঁকে মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছিল। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এর পরই চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রতি সপ্তাহে মনিটর করে চিকিৎসা নিতে হতো। সে কারণে তিনি আর দেশে ফিরে আসতে পারেননি। আমরা চাই, দেশের মানুষ চায় এবং ঢাকার মানুষ চায় সাদেক হোসেন খোকাকে নিয়ে এসে তাঁর দাফন ঢাকাতেই করা হোক। এ কথা তাঁর শেষ ইচ্ছে হিসেবে তিনি নিজেও বলেছেন।’
সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আনার জটিলতা সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে সমস্যা হবে না। তারা প্রয়োজনীয় যে নির্দেশনা দেওয়ার তা তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশনে দিয়েছে। আমরা আশা করছি যে তাঁর মরদেহ দ্রুত ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। তাঁর ইচ্ছে অনুয়াযী তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। ঢাকার মানুষ তাঁকে শেষ দেখা দেখতে পাবে।’