তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ল

২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, সরকার ব্যবসা সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তি শ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের করদায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার হ্রাস করে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে।
বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক দুই শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হবে মর্মে আশা করছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য’ ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছি। এবারের বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবারে বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাত দশমিক দুই শতাংশ রাখার প্রস্তাব করছি।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, ‘কোভিড পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক দুই শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ হবে মর্মে আশা করছি।’
সরকার বলছে, করোনাভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পরও প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্যের গতি প্রকৃতিও ‘আশানুরূপ’। ফলে সামনে ভোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সেবা খাতে চাঙ্গাভাব সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হবে। তাতে প্রবৃদ্ধিও বাড়বে।