ত্বকী হত্যার ৭ বছর, অভিযোগপত্র আলোর মুখ দেখেনি আজও
নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার সাত বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে থমকে আছে বিচার। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মধ্যে র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, খুনের সঙ্গে জড়িতদের তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে, অচিরেই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজও আলোর মুখ দেখেনি। হত্যার দ্রুত বিচার চায় হতাশ, ক্ষুব্ধ ত্বকীর পরিবারসহ এলাকাবাসী।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘এ লেভেল’ শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্র ত্বকী।
দুদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা চারারগোপ খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের বছর সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, এ হত্যায় নারায়ণগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানসহ ১১ জন জড়িত। তাদের মধ্যে সুলতান শওকত ভ্রমর ও ইউসুফ হোসেন লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে জামিনে রয়েছে। অন্যরা পলাতক।
ওই সংবাদ সম্মেলনের পর আশায় বুক বেঁধেছিলে ত্বকীর পরিবার। কিন্তু এরপরই পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। হত্যা মামলার তদন্ত আর এগোয়নি। বিভিন্ন ঘটনায় অপরাধী শনাক্ত না হওয়ায় বিচার বিলম্বিত হয়। তবে ত্বকীর খুনি শনাক্ত হয়েছে এমনটা উল্লেখ করে তার বাবা রফিউর রাব্বি মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলেই ত্বকী হত্যার বিচার হবে।
তবে র্যাব-১১-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলেপ উদ্দিন জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তদন্ত।
মো. আলেপ উদ্দিন বলেন, ‘ত্বকী হত্যার ঘটনায় কয়েকজন তদন্তকারী কর্মকর্তার পর আমাদের কাছে তদন্তের দায়িত্ব আসে। এখন মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে।’
এদিকে, ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে সাত বছর ধরে প্রতি মাসে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু বিচার পেতে আর কত অপেক্ষায় থাকতে হবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নিহত ত্বকীর পরিবারসহ এলাকাবাসীর মনে।