করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারিতেও যেসব জনপ্রতিনিধি গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য দেওয়া ত্রাণসামগ্রী নিয়ে অনিয়ম বা আত্মসাৎ করবে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় রাজউক, ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনস্থ কয়েকটি খাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রতিধিদের বিষয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের প্রান্তিক গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে; যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বণ্টন করা হচ্ছে। এসব ত্রাণ বিতরণে যদি কোনো অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ত্রাণ নয়-ছয় করা হলে কোনো ধরনের অনুকম্পা তারা পাবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এসব অনিয়ম বা ত্রাণ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত বেশকিছু জনপ্রনিধিকে এরইমধ্যে আমরা বহিষ্কার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে ফোজদারি আইনে মামলাও হয়েছে।’

খাল পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘রাজধানীর চারপাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো এ বর্ষার আগে আগে পরিষ্কার রাখার কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। করোনার বিস্তারের এ পরিস্থিতিতে পানি নিষ্কাশন ও ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব যাতে নগরবাসীর জন্য বাড়তি সমস্যার কারণ না হয় সেজন্য আমরা খালগুলো পরিষ্কার করার উপর জোর দিয়েছি।

এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বৃহত্তর উত্তরা এলাকার বেশকিছু খাল পরিদর্শন করেন।

মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিন এ খান, রাজউকের চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।