দিনাজপুরে করোনার চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা
দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলায় করোনার রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও ৩৪ জন ভর্তি রয়েছে। অনেকেই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) কোনো বেড খালি নেই। নতুন রোগীর জন্য কোনো বেড খালি না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবু রেজা মো. মাহমুদুল হক বলেন, এখানে ১৬টি সাধারণ আইসিইউ বেড এবং ডায়ালাইসিস রোগীদের জন্য দুটি আইসিইউ বেড আছে। হাই ডিপেনডিড রোগীদের জন্য নয়টি আইসিইউ বেড আছে। ফ্লু কর্নারে আরও ৩৪টি বেড এবং করোনা রেড জোনের জন্য ১০টি বেড ও চারটি ভ্যান্টিলেটর রয়েছে। সব মিলে ৭০টির মতো বেড রয়েছে। তবে প্রতিটি বেডে এখন ভর্তি রোগী রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩০টি বেড তৈরির নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আরও বলেন, করোনা রোগীর জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও কিছু বেড স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সব ধরনের রোগীর চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসক ও নার্সের সংকট রয়েছে। জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও একজন আইসিইউতে সুস্থ হওয়ার পরই অন্যজনকে শিফট করতে পারছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এর পরও দিনাজপুরে ঠিকমতো লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাট-বাজারে চলছে কেনাকাটা। লকডাউনের কোনো বালাই নেই। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শহরে মাস্কের ব্যবহার হলেও গ্রামে লোকজন মাস্ক ব্যবহার করছে না। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জরিমানা করলেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।
সিভিল সার্জন ড. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন নতুন করে করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২.৮৮ শতাংশ। এদিকে এখন পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, পাঁচ হাজার ২৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।