দীপন হত্যার রায়ের অপেক্ষা, আদালতে ছয় আসামি
প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে মামলার আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত চত্বরে থাকা আইনজীবীরা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে মামলার ছয় আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়েরকে
এই মামলার পলাতক দুই আসামি হলেন- জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।
গতকাল মঙ্গলবার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সরোয়ার জাকির বলেছিলেন, ‘মামলায় বিচারক অভিযোগপত্রের ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। এ মামলায় আমরা সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি, তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।’
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলায় রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপরে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ দেন বিচারক। পরের বছর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩১ নভেম্বর আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ কার্যালয়ে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।