দুই হত্যাকারী ও ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই আসামি এবং ইজিবাইক ছিনতাইকারী দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান ও মো. আল আমিন।
গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা, পলাশ ও মনোহরদী থানা পুলিশ।
ইজিবাইকচালক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন মনোহরদী থানার পূর্ব ডোমনমারা গ্রামের নাঈম মিয়া (২২) ও মো. জাকির হোসেন (২৫)।
গ্রেপ্তার হওয়া ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্য হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার সাদিপুর গ্রামের মো. আরিফ মিয়া (২৮), মো. মিম ইসলাম (২৬), মো রুবেল মিয়া (৩০), কোনাবাড়ী গ্রামের মো. রিপন মিয়া (৩৩) ও বন্দর থানার গোকুলদাসের বাগ এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৮)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে (৪ আগস্ট) মনোহরদীর পূর্ব ডোমনমারা গ্রামের একটি পুকুর থেকে স্বপন মিয়া নামে এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা করলে পুলিশ ইজিবাইক জব্দ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইজিবাইকচালক স্বপন হত্যার ঘটনায় জড়িত নাঈম মিয়া ও জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য চালক স্বপন মিয়াকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়।
অপরদিকে গত ২১ জুলাই পলাশ থানার ভাটপাড়ায় ছদ্মবেশি যাত্রী হিসেবে ইজিবাইক ভাড়া করে এক ছিনতাইকারী। কিছুদূর গিয়ে একটি প্রাইভেটকারের কাছে ইজিবাইক থামাতে বলে। এ সময় তিনজন প্রাইভেটকার থেকে নেমে ডিবি পরিচয়ে ইজিবাইক চালককে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু দূর নিয়ে নামিয়ে দেয়। এই সুযোগে এই চক্রের যাত্রীবেশি সদস্য চালকের রেখে যাওয়া ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ও পলাশ থানা পুলিশ। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে রুবেল ও রিপন নামে দুজনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় ইজিবাইক চুরির মামলা রয়েছে। এ সময় তাদের দখল থেকে পাঁচটি ইজিবাইক ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।