দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো এস কে সুরকে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক ছায়েদুর রহমান মামলার সন্দিগ্ধ (সন্দেহভাজন) আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এই আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘মামলা তদন্তের সময় দেখা যায়, ২০১০ সালের ২৬ জুন থেকে ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এজাহারনামীয় আসামি তুষার আহমেদ, মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন ও সুমন ভূঁইয়া—পরস্পর যোগসাজশে অপরাধলব্ধ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ উৎস গোপন করার লক্ষ্যে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক লেয়ারিং করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা তৎসঙ্গে পঠিতব্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯ এর ৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিনের যৌথ নামীয় ১৬টি এফডিআর শুরুতে যার মোট মূল্য ছিল ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও তুষার আহমেদের স্ত্রী নাজনীন সুলতানার নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি., মিরপুর শাখা, ঢাকায় সঞ্চয়ী হিসাব নং- ০১১৪১২১০০০৭৯১২১ এ গত ৭/১২/২০১১ তারিখে ঢাকা ব্যাংকের একটি চেকের মাধ্যমে জমা করা দুই কোটি টাকা তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিনের অপরাধলব্ধ আয় থেকে অবৈধভাবে অর্জিত। কেননা ওই সময়ে তারা উভয়ে হলমার্ক গ্রুপের কর্মচারী ছিলেন এবং রেকর্ডপত্র অনুযায়ী উভয়ের বেতন ছিল সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। সুতরাং তাদের নামে ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন তাদের বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আর হলমার্ক গ্রুপ কর্তৃক জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লি., হোটেল শেরাটন করপোরেট শাখা, ঢাকা থেকে (ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে) আইবিপি, এফবিপি, পিএডি, পিসি ঋণের নামে আত্মসাৎ করা ও পরে স্থানান্তর, রূপান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে লন্ডারকৃত অর্থ প্রকৃতপক্ষে সোনালী ব্যাংক তথা সরকারি অর্থ। বর্ণিত ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা হল-মার্ক গ্রুপ কর্তৃক জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত ও পরে লন্ডারকৃত আর্থেরই অংশ মর্মে প্রতীয়মান হয়, যার অবৈধ উৎস গোপন করার লক্ষ্যে ঘন ঘন ও নগদ লেনদেন দেখানো হয়েছে এবং নামে বেনামে বিভিন্ন হিসাব খুলে নিজেদের মধ্যে লেনদেন করা হয়েছে।’