দেশে ১০ জনের ওমিক্রন শনাক্ত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্তের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন।
আজ রোববার দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ।
রোবেদ আমিন বলেন, আমরা এক সময় বলেছিলাম, পুরুষরা অনেক বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে তথ্য এসেছে তাতে ওমিক্রনে পুরুষের চেয়ে নারীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। একইসঙ্গে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, এক সময় বলা হতো তরুণদের ইমিউনিটি বেশি তারা আক্রান্ত হবে না। কিন্তু ওমিক্রন এসে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। শিশুদেরও আমরা আক্রান্ত হতে দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপে।
রোবেদ আমিন আরও বলেন, আমাদের যে টিকাগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেটা কোনোটাই ওমিক্রন প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর না। যারা আগে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। তিনি বলেন, যারা কোভিড ১৯-এর দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা যেন বুস্টার ডোজ নেন, সেই বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। কারণ বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বেড়ে যায় যা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের এখানে বেশ কিছু টেস্ট হচ্ছে এবং টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীরে ধীরে। যেহেতু আমাদের কেসও বেড়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ শতাংশ টেস্ট বেশি করা হয়েছে। গত সাত দিনে আমাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। করোনা প্রতিরোধে সারা দেশে মাসব্যাপী ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
এক মাসে দেশের মানুষকে চার কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার টার্গেট আছে জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, আমরা চাই আগামী জুন মাসের মধ্যে আমাদের ৮০ শতাংশ লোক বা তারও বেশি সংখ্যক যাতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মী এবং ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।