ধানের শীষের বিজয় মানে জনগণের বিজয় : রবি
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, ‘জনগণ ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় হবে, আর এ বিজয় জনগণের বিজয়।’ রাজধানীর বারোইখালী এলাকায় ও সিকদার মেডিকেল থেকে আজ সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রবি। এরপর তিনি হেমায়েতপুর এলাকায় ট্যানারিতে গণসংযোগ করেন। হাজারীবাগের অনেক ভোটার এখন ট্যানারিতে কর্মরত রয়েছেন।
গণসংযোগে শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিতে পারলে জনগণের বিজয় হবে। জনগণের বিজয় হলে ধানের শীষের বিজয় হবে। ধানের শীষের বিজয় মানে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিজয়। বিএনপির বিজয় মানে শেখ রবিউল আলম রবির বিজয়, এটা প্রতিষ্ঠিত, এতে সন্দেহ নেই।’
রবি বলেন, ‘মানুষ বিএনপির সরকার চায়। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সুশাসন চায়। জবাবদিহিতামূলক রাজনীতি চায়। এর জন্য উপযুক্ত দল বিএনপি। আর উপযুক্ত নেত্রী খালেদা জিয়া। ঢাকা-১০ আসনে উপযুক্ত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি, এটা মানুষ বিশ্বাস করে এবং মানুষ ভোট দিতে চায়। জনগণ ২১ তারিখ তাদের ভোটের মাধ্যমে সুশাসনের প্রতিফলন ঘটাবে।’
সরকারের উদ্দেশে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে, ঢাকা-১০ আসনে তাদের বিজয় চাই-ই চাই, ঢাকা-১০ আসন দখল করবে। যেভাবে সিটি নির্বাচন তারা দখল করে নিয়েছে, তাহলে তো ভিন্ন ব্যাপার। আর এটা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। জনগণ ভোট দিতে না পারলে রাষ্ট্রের মালিকানা থাকে না, গণতন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যায়। গণতন্ত্র হারিয়ে গেলে জনগণের মালিকানা চলে যায়। জনগণের বিরুদ্ধে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ভালো থাকে না। জনগণও স্বস্তিতে থাকে না।’
রবি আরো বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে আছি এবং থাকব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জনগণের উপর আস্থা রেখে কাজ করব। শেষ হওয়া পর্যন্ত সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, তারা অতীতে ভুল করেছে, এই নির্বাচনে যেন শুধরে নেয়। আমার দল বিএনপি এবং আমি জনগণের প্রতি আস্থা রাখি। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না করে, যেন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হয়। কোনো কারণে যেন জনগণের ভোট বর্জন করতে না হয়। রেজাল্ট না হওয়া পর্যন্ত আমরা আস্থা রাখতে চাই, থাকতে চাই জনগণের সঙ্গে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রে অবস্থান নিতে চাই।’
বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন দল কোনো কিছুই কেয়ার করে না, তাদের নেতাকর্মীরা কেয়ার করে না। আমি মনে করেছিলাম, সরকারদলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি রাষ্ট্রের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। কিন্তু তিনিও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলছেন। এটা হয়তো জাতির জন্য দুর্ভাগ্য হতে পারে। এখনো সময় আছে, ইসি কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীও সজাগ ও সংযত হবেন। সেটি না হলে জাতির কাছে দুঃসংবাদ যাবে। জনগণ আশাহত হবে, ভোটার ভোট বিমুখ হবে।’
এ সময় ধানমণ্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন সৈকত, ধানমণ্ডি থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কাউছারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।