নকল সনদে পদোন্নতির দায়ে কর বিভাগের কর্মচারীর কারাদণ্ড
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেটের (এসএসসি) নকল সনদ দাখিল করে পদোন্নতি নেওয়ার মামলায় ঢাকার কর অঞ্চল-১৪ এর উচ্চমান সহকারী মো. নুরুল আমিন পাঠানের ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ফোরকান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিচারক আসামিকে ছয় বছর কারাদণ্ডের মধ্যে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় তিন বছর ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো এক মাস এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় সমপরিমাণ দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
বেঞ্চ সহকারী আরো বলেন, এদিন রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় বিচারক তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। আসামি গাজীপুর জেলার বাসিন্দা।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ১৯৮১ সালের ১ এপ্রিল এমএলএসএস পদে যোগদান করেন। যোগদানের সময় তিনি এসএসসি পাস ছিলেন না। কর বিভাগের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী এমএলএসএস পদ থেকে নিম্নমান সহকারী পদে পদোন্নতির জন্য ন্যূনতম এসএসসি পাস হতে হবে। আসামি নিম্নমান সহকারী পদে পদোন্নতি জন্য বাড্ডা আয়াতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাসের একটি সার্টিফেকেট দাখিল করেন। যার ওপর ভিত্তি করে তাঁকে ১৯৯২ সালের ৪ আগস্ট বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি নিম্নমান সহকারী পদে পদোন্নতি দেন। পরবর্তী সময়ে এই সনদ যাচাইয়ের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাঠায়। যাচাইয়ের পর ওই বছর ৩ অক্টোবর রোর্ড জানায় যে, দাখিলকৃত সনদটি ভুয়া।
এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক রমনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরবর্তী সময়ে তিনি পদোন্নতি পেয়ে উচ্চমান সহকারী হন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করে দুদক।