নতুন টাকার বাজার জমজমাট
রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। ঈদের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করে নতুন টাকা। পশু কেনার পাশাপাশি ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে নতুন টাকার বেচা-কেনা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্থান, সদরঘাট ও নিউমার্কেটে বিক্রি হয় নতুন টাকা। নতুন টাকার বান্ডিল সাজিয়ে ফুটপাতে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা ছেঁড়া-ফাটা নোট বদলে কিছু টাকা বাড়তি রেখে গ্রাহকদের দেন নতুন নোট।
আবদুল মালেক নামের একজন ব্যবসায়ী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সারা বছরই নতুন টাকা বিক্রি হয়। তবে ঈদ এলে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু করোনার কারণে মানুষের হাতে টাকাপয়সা কম মনে হচ্ছে। আগের মতো আর মানুষ কিনতে আসে না।
আবদুল মালেক জানান, তাঁরা বংশ পরম্পরায় টাকা বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িত আছেন। ঈদের আগে তাদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র। তবে আজকে অনেকে ঢাকার বাইরে যাওয়ায় তাদের কাছ থেকে ১০, ২০ ও ৫০ টাকার নোটের বান্ডিল নিয়ে যাচ্ছেন।
লাভলু নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘শতকরা ২০ টাকা করে লাভ নেন সবাই। তবে টাকা ছেঁড়ার ওপর নির্ভর করে টাকা দেওয়া-নেওয়ার হার।’ তিনি বলেন, ‘এবার ২০০ টাকার নতুন নোটের প্রতি সবার আগ্রহ বেশি। তবে ক্রেতাদের কাছে টাকা বেশি না থাকায় কম পরিমাণে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ব্যবসা ভালো হচ্ছে না।’
লাভলু বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারেণ চার মাস কোনো ব্যবসা হয়নি। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। হাতের টাকা খরচ করে ফেলেছি। এখন সুদের ওপরে টাকা নিয়ে ব্যবসা করছি। যা লাভ হয় তার বেশির ভাগই সুদের টাকা দিতে হয়।’
মিনহাজ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আজ সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংকে যাওয়া সম্ভব না, তাই রাস্তার ওপরেই আসছি টাকা নিতে।’ তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের আগে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি আজ রাতেই বাড়িতে যাচ্ছি। ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাইয়ের ছেলে ও ছোট ভাইদের জন্য নতুন টাকা নিচ্ছি। তারা সে টাকা সালামিতে পেলে অনেক খুশি হয়।’
সাদমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘রোজার ঈদের সময় করোনার কারণে দোকান ছিল না। তাই নতুন টাকা কিনতে পারি নাই। কিন্তু এই ঈদে দেখছি নতুন টাকার হাট বসেছে। তাই কিনতে আসলাম।’ তিনি বলেন, নতুন টাকার মধ্যে ২০০ টাকার নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পরিবারের অনেকে বলেছে, নতুন ২০০ টাকার নোট দিতে, তাই কিনতে এসেছি। তবে নতুন ২০০ টাকার দাম বেশি চাচ্ছে। প্রতি ২০০ টাকা ৩০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলে যোগ করেন তিনি।