নবীগঞ্জ পৌরসভা : পুনরায় ভোট গণনার আবেদন নৌকার প্রার্থীর
অনিয়মের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী। এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে নবীগঞ্জ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। সেখানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী। গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী স্থানীয় যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
নৌকা মার্কার প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন স্বজনপ্রীতি, বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে আমার সঙ্গে। প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভোটদানে বাধা, মৃত ব্যক্তির ভোটদান, নৌকার এজেন্টের কাছ থেকে ভোট শেষ না হওয়ার আগে জোরপূর্বক ভোট গণনার বিবরণীতে অগ্রিম স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়েছে। তাই আমি চাই, নতুন করে ভোট গণনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হোক।‘
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরো দাবি করেন, ‘নির্বাচনি ১০টি কেন্দ্র হতে প্রিজাইডিং অফিসারের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে নৌকা মার্কা জয়লাভ করে। কিন্তু পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন অফিস হতে জেলা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দেখা যায় যে, কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীকে ২৬৪ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানাই। এবং পুনরায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে ভোট গণনার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীক ৯৯২ ভোট পেয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা পরিষদে ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা মার্কা পেয়েছে ৬৬৯টি ভোট।
লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নগর কেন্দ্রের মৃত ব্যক্তির ভোটদান, নৌকা মার্কার নির্বাচনি এজেন্টের কাছ থেকে ভোট শেষ না হওয়ার আগে জোরপূর্বক ভোট গণনার বিবরণীতে অগ্রিম স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের স্বজনপ্রীতি, বৈষম্যমূলক আচরণ ও সংখ্যালুঘু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পূর্ব তিমিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপির কারণে আমার নৌকা মার্কার পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষরবিহীন প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন, সাত ও আট নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত মোট উপস্থিত ভোটার সংখ্যার সঙ্গে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন হইতে প্রাপ্ত একীভূত বিবরণীতে উপস্থিত ভোটার সাথে গরমিল পরিলক্ষিত হয়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনকে নির্বাচনী বিধিনিষেধ অমান্য করে পৌরসভার ভোটার হওয়া সত্ত্বেও পোলিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এক নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার ফাহমিদা আক্তার দীপা, দুই নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার আলেয়া ফেরদৌসী, শামীম আহমেদ ও নাসিম আহমেদ চৌধুরীকে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। যারা ধানের শীষের প্রার্থীর নিকটাত্মীয়।’