নিরাপত্তা রক্ষায় সিলেটে থানায় থানায় বসেছে মেশিনগান
দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে সিলেটের সব থানায় লাইট মেশিনগান (এলএমজি) পোস্ট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি থানায় ৩০ থেকে ৫০ জন বাড়তি পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বৃহস্পতিবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফুল্লাহ তাহের ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মহানগর ও জেলা পুলিশের সব থানায় লাইট মেশিনগান বসানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় গতকাল বুধবার রাত থেকে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার গোলঘরে সিমেন্টের বস্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পোস্ট। দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য এলএমজি তাক করে বসে আছেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ৫০ পুলিশ সদস্য এই থানায় যোগ করা হয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনা করে কিছু থানার ছাদে ও সামনের ফাঁকা স্থানে এ ধরনের পোস্ট দেখা যায়।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফুল্লাহ তাহের জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এসএমপির সব থানা, ফাঁড়ি ও স্থাপনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি স্থাপনায় এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শুধু থানা বা ফাঁড়ি নয়, সরকারি সব স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ফোর্স তৈরি রাখা হয়েছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে শক্ত হাতে তা প্রতিহত করা হবে।’
একই অবস্থা সিলেট জেলার ১১ থানাতেও। এসব থানায় এলএমজি পোস্ট বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন। তিনি জানান, এরই মধ্যেই সব থানায় এলএমজি সরবরাহ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় প্রতিটি থানায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান এসপি। তিনি আরও বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতকারী কোনো ধরনের হামলা চালানোর চেষ্টা করে আর পার পাবে না। প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’