নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করার রেকর্ড আওয়ামী লীগের নেই : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কখনও টালবাহানা করার রেকর্ড আওয়ামী লীগের নেই, এ রেকর্ড বিএনপির আছে। বিএনপি ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে দুবারই ক্ষমতা জোর করে আঁকড়ে রাখার জন্য নানা রকম টালবাহানা করেছিল। জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে তারা ক্ষমতাচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছিল। বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে দিয়েছিল এ দেশের জনগণ।’
কুষ্টিয়ার পিটিআই রোড এলাকায় নিজ বাসভবনে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
হানিফ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নজির একমাত্র আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছিল ২০০১ সালে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি নেতারা এ সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় নেতিবাচক কথাবার্তাই বলে চলেছে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সবসময় বলেন, দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের এসব কথাবার্তার মধ্যেও কিন্তু দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সেই হতাশা থেকে মির্জা ফখরুলরা সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের নেতিবাচক কথাবার্তা বলছেন।’
‘সরকার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করে মুনাফা খাচ্ছে’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে মির্জা ফখরুল ছেলে মানুষের মতো সরকারের চাল মজুদ ও মুনাফার কথা বলছেন।’
এ সময় কুষ্টিয়া-৪-আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক রবিউল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল আলম সুমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেবুন-নেসা-সবুজ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামস তানিম মুক্তিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।