নীলফামারীতে কালবৈশাখী ঝড়ে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
নীলফামারীতে হঠাৎ বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষিপ্তভাবে জেলার ডোমার ও ডিমলা উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় এই ঝড়।
এই কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় সহস্রাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপরে ও ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বৈদ্যতিক তার ছিড়ে পড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ডোমার উপজেলার চিলাহাটিসহ কয়েকটি এলাকা।
চিলাহাটি বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম কাজল জানান, আজ বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ করে বেলা বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ ঝড় হানা দেয়। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিট স্থায়ী ওই ঝড়ে চিলাহাটি বাজারের অসংখ্য দোকানপাটের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। চিলাহাটি সরকারি কলেজের সামনে ১১ হাজার কেভি বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা চিলাহাটি এলাকা। ওই ঝড়ে ভোগডাবুড়ী ও কেতকিবাড়ী ইউনিয়নে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় অন্তত তিন শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় অসংখ্য গাছপালা রাস্তায় উপড়ে ও ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। একইভাবে উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নেও ঝড় বয়ে গেছে। ওই ঝড়ে ভুট্টা ও বাদাম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ভোগডাবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নে চিলাহাটি বাজার, বউবাজার, বোতলগঞ্জ এলাকাসহ চারটি ওয়ার্ডে ব্যাপক এবং অপর পাঁচটি ওয়ার্ডে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
একই সময়ে ঝড় বয়ে যায় জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, খগাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপনী ইউনিয়নের ওপর দিয়ে। এসব ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুই থেকে তিন মিনিটের ঝড়ে এসব এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এসব এলাকায় ঘরে চাল উড়ে ও গাছ ভেঙে সড়কে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।